করোনাভাইরাস।

বাংলাদেশেও করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার হচ্ছে ডেক্সামেথাসন

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় প্রণীত জাতীয় নির্দেশিকায় ডেক্সামেথাসন প্রয়োগের কথা বলা আছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় হাসপাতালে এ ওষুধটি ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলও ভালো পাওয়া গেছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন এসব কথা।

আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রায় দুই হাজার করোনা রোগীর শরীরে ডেক্সামেথাসন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করেছিলেন। প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ মৃত্যুঝুঁকি ৪০ থেকে ২৮ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনে। আর যাঁদের অক্সিজেন নেওয়া দরকার, সেসব রোগীর মৃত্যুঝুঁকি কমে ২৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত।

বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির মহাসচিব ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক আহমেদুল কবীর প্রথম আলোকে জানান, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় এই ওষুধের প্রয়োগ হচ্ছে অনেক দিন থেকে। কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় যে নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে, সেখানে ডেক্সামেথাসন গোত্রভুক্ত ওষুধ ওরাডেক্সন ও মিথাইল প্রেডনিসোলোন ব্যবহার হচ্ছে। এতে ভালো ফলও পাওয়া গেছে।

ওষুধটি মূলত কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত যেসব রোগীর ভেন্টিলেশন ও অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, তাঁদের চিকিৎসায় ব্যবহারের কথা বলেছেন অক্সফোর্ডের গবেষকেরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান সীতেশ চন্দ্র বাছার প্রথম আলোকে বলেন, ওষুধটি বাংলাদেশে সুলভ মূল্যে বড় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই তৈরি করছে বহু বছর ধরে।

৩০টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের দাম বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডেক্সামেথাসন মুখে খাওয়ার ওষুধের দাম সর্বনিম্ন ৬০ পয়সা থেকে ১ টাকা ১৫ পয়সা পর্যন্ত। ইনজেকশনের দাম সর্বনিম্ন ১৫ থেকে ৩০ টাকা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *