ভারতে শনাক্ত ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট মহামারির প্রধান ভ্যারিয়েন্ট হওয়ার পর থেকে গর্ভবতীরা অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন; আবার মৃত্যুবরণও করছেন। তার ওপর, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের ভ্যাকসিন না দেওয়ার তালিকায় রাখার ফলে এ ঝুঁকি কমানো তো যাচ্ছেই না বরং জ্যামিতিক হারে বাড়ছে।ADVERTISEMENThttps://b91b8374b44216b75c80847ae1d55af5.safeframe.googlesyndication.com/safeframe/1-0-38/html/container.html

১) গর্ভবতীদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। ফলে সহজেই তাদের ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

২) গর্ভবতীদের রক্তনালীর ভেতর রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। আবার করোনায় মৃত্যুর প্রধান কারণ  ফুসফুসের রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া। ফলে গর্ভবতীরা করোনায় আক্রান্ত হলে খুব দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে।

তবে আশা করছি, খুব দ্রুত আমাদের দেশে এ ব্যাপারে একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে। এমনটা আশা করার পেছনে কারণগুলো হলো—

১) বিশ্বজুড়ে গণটিকাদানের সাত মাস শেষ হতে চলল, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের মধ্যে যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তারা এবং তাদের সন্তান কারোরই গুরুতর কোনো অসুস্থতা দেখা যায়নি।

২) একটি গবেষণায় ৩৫ হাজার গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেয়ার পরে উল্লেখযোগ্য কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

৩) সিডিসি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই দুই শ্রেণিকে ভ্যাকসিন দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছে।

৪) যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ প্রভৃতি দেশ গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করেছে।

৫) প্রতিবেশী দেশ ভারতও কয়েকদিন আগে গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে।

এ অবস্থায় আমাদের করণীয় কী

১) পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে মহামারিকেও হিসাবে রাখা।

২) যারা ইতিমধ্যে গর্ভধারণ করে ফেলেছেন, তারা সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করবেন।

৩) সরকার গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের ভ্যাকসিন দেয়ার অনুমতি দেয়ামাত্র নিবন্ধন করতে হবে।

লেখক: চিকিৎসক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল(যুগান্তর)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *