করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে চাকরির ওপর নির্ভরশীল মধ্যবিত্তদের বড় অংশই দিশাহারা। একটি অংশ চাকরি হারিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে গেছে। যাঁদের চাকরি আছে, বেতন যেন ‘সোনার হরিণ’। কারো বেতন কমে গেছে, অনেকে মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না। সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো লকডাউনে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় অনেকে কর্মী ছাঁটাই করেছে। নতুন করে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনে ঘরে না থাকলে জেলে যাওয়ার ঝুঁকিও আছে। এমন গভীর সংকটে মধ্যবিত্তদের পাশে কেউ নেই। গরিবের জন্য খাদ্য ও অর্থ সহায়তা আছে। উচ্চবিত্তের জন্য আছে শিল্পের প্রণোদনা। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে কিছুই নেই মধ্যবিত্তের জন্য।
মহামারির প্রভাবে মধ্যবিত্ত নতুন করে দরিদ্র হচ্ছে। সঞ্চয় ভেঙে খেতে খেতে নিঃশেষ এই শ্রেণিকে রক্ষায় বেসরকারি খাতে সরকারের জোরালো তদারকি চান অর্থনীতিবিদরা। তাঁরা বলছেন, যাঁরা সরকারের প্রণোদনা নিয়েও কর্মী ছাঁটাই করছেন, নানা অজুহাতে বেতন কাটছেন, তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন। একই সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান একান্তই বাধ্য হয়ে কর্মী ছাঁটাই করছে, তাদের বেতন সহায়তা দিয়ে হলেও মধ্যবিত্তের মানুষকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।
অর্থনীতিবিদরা আরো বলছেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও কর্মী টিকিয়ে রাখতে দায়িত্ব নিতে হবে। যেসব বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে যেসব প্রণোদনা আছে, এগুলো শর্তসাপেক্ষে হওয়া উচিত। এমন ব্যবস্থা করা দরকার যে প্রণোদনা তখনই পাওয়া যাবে, যখন প্রতিষ্ঠানে কোনো ছাঁটাই হবে না।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধ বা লকডাউন কার্যকর করার জন্য জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হতে পারবে না। লকডাউন কত দিন দীর্ঘায়িত হবে, তা নিয়েও চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ। মধ্যবিত্তের দুশ্চিন্তারও শেষ নেই। কারণ শেষ অবলম্বন হিসেবে রাখা সঞ্চয়ে আবার আঘাত আসছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, একের পর এক লকডাউন আসতে থাকলে মানুষের বেঁচে থাকার কোনো অবলম্বন থাকবে না। সংকট থেকে উত্তরণে সরকারের বিনিয়োগ ও ব্যয় বাড়লে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আবার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখতে হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। করোনা ব্যবস্থাপনায় আরো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ব্র্যাক, ইউএন উইমেন বাংলাদেশ ও নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির যৌথ গবেষণার তথ্য বলছে, করোনা মহামারিতে গত বছরের এপ্রিল থেকে অক্টোবরে ৭৭ শতাংশ পরিবারের গড় মাসিক আয় কমেছে এবং ৩৪ শতাংশ পরিবারের কেউ না কেউ চাকরি অথবা আয়ের সক্ষমতা হারিয়েছেন। এ সময়ে দৈনন্দিন খরচ মেটাতে পরিবারগুলো সঞ্চয় ও ধারদেনার ওপর নির্ভরশীল ছিল। ফলে পরিবারগুলোর গড় মাসিক সঞ্চয় ৬২ শতাংশ কমে গেছে, ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৩১ শতাংশ। করোনা পরিস্থিতির কারণে ৬২ শতাংশ মানুষ কাজ হারিয়েছে বলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক জরিপে উঠে এসেছে।
পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) আরেকটি জরিপ অনুসারে, মহামারির প্রভাবে দুই কোটি ৪৫ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে। স্পষ্টতই মধ্যবিত্ত শ্রেণির একটি বড় অংশ এর মধ্যে পড়েছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মহামারির প্রথম দফায় মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য তেমন কিছু ছিল না। তারা চাকরি হারিয়ে নীরবে অসহায়ত্বের মধ্যে আছে। নতুন করে দরিদ্র হয়ে যাওয়ার বিষয়টির প্রতিফলন বাজেটে দেখা যায়নি। সাম্প্রতিক সময়ে যদিও সুনির্দিষ্ট কিছু পেশাকে টার্গেট করে সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে সেবা খাতের শিক্ষক, চাকরিজীবীদের আরো কিভাবে সহায়তা করা যায়, সেটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।’ তিনি বলেন, পশ্চিমা বিশ্বে এই ধরনের গোষ্ঠীর জন্য কিছু উদ্ভাবনী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই গোষ্ঠীর ডিজিটাল উপস্থিতি আছে, এদের একটি ডাটাবেইস দ্রুত করা দরকার। এদের জন্য অন্যান্য দেশে যেসব কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। নিম্ন আয়ের মানুষের পর এখন সরকারের করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত চাকরিজীবী মধ্যবিত্ত শ্রেণির পাশেও দাঁড়াতে হবে। তাদের ‘নগদ সহায়তা’ এবং পোশাক খাতের আদলে ‘বেতন সহায়তা’ দেওয়া গেলে ক্ষয়িষ্ণু মধ্যবিত্তদের কিছুটা হলেও রক্ষা করা সম্ভব।
নতুন দরিদ্র আরো বেড়েছে কি না জানতে চাইলে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘আমরা চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত যে জরিপের ফল প্রকাশ করেছি, তাতে দুই কোটি ৪৫ লাখ নতুন দরিদ্র ছিল। আগস্টে আমরা নতুন জরিপ করতে যাচ্ছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ এবং বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘উন্নয়ন অন্বেষণ’-এর চেয়ারপারসন ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মধ্যবিত্ত শ্রেণিটা ক্রমেই ভেঙে যাচ্ছে। করোনা সংকট সমাজের মাঝের শ্রেণিগুলোতে ভাঙন ধরিয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ে কোনো আলোচনা হচ্ছে না। মহামারির অভিঘাতে টিসিবির লাইনেও এখন মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে দেখা যাচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তাকে আমরা এখনো দেখি খয়রাতি রিলিফ হিসেবে। এটা ত্রাণ বা রিলিফ না, পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা।’ তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশের আদলে আমাদের জীবনচক্রভিত্তিক নিরাপত্তা মডেল চালু করতে হবে। বেকার ভাতা থেকে শুরু করে আয়কর সহায়তা ভাতা, বৃদ্ধ ও প্রবীণ ভাতা—এসব ব্যবস্থা রাখতে হবে। পূর্ণাঙ্গ সর্বজনীন পেনশন স্কিমের কথা বর্তমান সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতেও বলা আছে। সরকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তাতে যে অর্থ অব্যয়িত আছে, তা দিয়েও এটি চালু করা যেতে পারে।’
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সরকারের বড় অগ্রাধিকারের মধ্যে আছে নিম্ন আয়ের মানুষ। কিন্তু অন্য যেসব পেশাজীবী আছেন, তাঁরা যে দারিদ্র্যসীমার খুব ওপরে আছেন, তা নয়। তাঁদের যে আয় আসে তা দিয়ে ব্যয় নির্বাহ হয়। তাঁদের যে সঞ্চয় ছিল লম্বা লকডাউনে সেটা ভাঙতে ভাঙতে শূন্য হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, নিম্ন পেশাজীবীর বাইরে সেবা খাতকেন্দ্রিক পেশাজীবীদের মধ্যে যাঁরা কাজ হারাচ্ছেন সেই জায়গাটাতে সরকারের সহায়তা প্রয়োজন। এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকার ঋণসুবিধার মধ্যে আনতে পারে। কর্মী ছাঁটাই না করে অন্তত ৫০ শতাংশ বেতন দিয়েও যাতে কর্মী ধরে রাখতে পারে, সে জন্য সহায়তা দিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারের শর্ত থাকতে হবে যে এঁদের যেন ছাঁটাই না করা হয়।
ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এই মুহূর্তে যেসব ক্ষতিগ্রস্ত সেবা খাতে সহায়তা দেওয়া যায়নি, সেখানে কিছু সহায়তা স্কিম চালু করা যেতে পারে। সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোও কিছু অবদান রাখতে পারে। এর মাধ্যমে যাঁদের চাকরিতে রাখা যাচ্ছে না, তাঁদের জন্য তিন থেকে ছয় মাসের সহায়তা দেওয়া যেতে পারে। দেশের প্রত্যেক নাগরিক যাতে একটি ন্যূনতম জীবনমান ধরে রাখতে পারে, কারোরই যাতে মহামারির কারণে আর্থিক পরিস্থিতি অবনমন না হয়, সেই লক্ষ্যেই কাজ করতে হবে। সেটা এত দিন নিম্ন আয়ের জন্য হয়েছে, এখন মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্যও করতে হবে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) গবেষণা পরিচালক ড. সায়মা হক বিদিশা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সরকার বিভিন্ন খাতের জন্য কিছু কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু মানুষ প্রথম লকডাউনের ধাক্কায় ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তারা চেষ্টা করেছে পরবর্তী সময়ে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর। কিন্তু পরবর্তী ধাক্কাগুলোতে তাদের টিকে থাকার অনিশ্চয়তা বেড়েছে। আমরা একাধিক গবেষণায় ধার করার কথা জেনেছি, সঞ্চয় ভাঙার মতো ঘটনা দেখেছি। এটি একটি সময় পর্যন্ত করা সম্ভব। কিন্তু যখন আবার লকডাউন শুরু হলো এই মানুষগুলোর পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো আরো জটিল হয়ে গেল। এখন সরকারের যে কর্মসূচিগুলো রয়েছে, এটা ইতিবাচক পদক্ষেপ।’ তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের বিভিন্ন আয়ের চাহিদা ও সমস্যাগুলো ভিন্ন ভিন্ন। এই শ্রেণিগুলোকে ভিন্ন ভিন্নভাবে সহায়তা দিয়ে রক্ষা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও দায়িত্ব নিতে হবে।’
উদাহরণ দিয়ে ড. সায়মা বলেন, নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতিকে তার কর্মী টিকিয়ে রাখতে এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকার ৩০ শতাংশ ঋণ দিতে পারে, সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ৩০ শতাংশ অর্থ সহায়তা দিলে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী কোনো মতে খেয়ে পরে টিকতে পারবে। তিনি আরো বলেন, ‘বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে যেসব প্রণোদনা আছে, এগুলো শর্তসাপেক্ষে হওয়া উচিত। প্রণোদনা তখনই পাওয়া যাবে, যখন প্রতিষ্ঠানে কোনো ছাঁটাই হবে না। এ ছাড়া স্বল্প পরিসরে হলেও বেকার ভাতা চালু করা যেতে পারে।’
সর্বশেষ ৩২০০ কোটি টাকার নতুন প্রণোদনায়ও নেই মধ্যবিত্ত
দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের পর সরকার মোট ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এর মোট আর্থিক মূল্য এক লাখ ৩১ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা। এগুলোর মধ্যে শিল্পে প্রণোদনার পাশাপাশি পোশাককর্মীদের বেতন-ভাতাও অন্তর্ভুক্ত। সর্বশেষ প্যাকেজটি ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষকে রক্ষা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পর্যটন খাতের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত এই নতুন পাঁচটি প্যাকেজে তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। গত অর্থবছরে কর্মহীন, অতিদরিদ্র মানুষকে সহায়তা দিতে সারা দেশে তালিকা করে ৩৫ লাখ পরিবারকে দুই হাজার ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এতে সরকারের ব্যয় হয় ৮৭৫ কোটি টাকা।
২০২৬ সাল পর্যন্ত সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার সুপারিশ
দারিদ্র্যের হার ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত দরিদ্র খানাগুলোকে বছরে তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত মাসে পাঁচ হাজার টাকা হারে নগদ সহায়তা দেওয়ার সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। ইআরডির প্রস্তুত করা একটি পজিশন পেপার অনুসারে, এতে প্রতিবছর ১২.২ শতাংশ হারে দারিদ্র্য কমে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সময় বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমে দাঁড়াবে এক কোটি ৭৪ লাখ। প্রতিবেদনটি এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইআরডির কর্মকর্তারা।
মহামারিকালের বাজেটে শ্রমবাজারের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বরাদ্দ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়লেও সামাজিক ক্ষমতায়নের জন্য বরাদ্দ এবং দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বরাদ্দ ৫০ শতাংশে নেমে গেছে। সম্পদ ও অর্থ প্রদানের পাশাপাশি সরকারকে মানুষের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে ইআরডি। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে দেওয়া বরাদ্দের অপব্যবহার কমাতে থাইল্যান্ড ও ব্রাজিলের মতো বরাদ্দ পাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির তথ্যসংবলিত একটি একক ডাটাবেইস গড়ে তুলতে সরকারকে অনুরোধ করেছে ইআরডি।(কালের কণ্ঠ)