বছরের এই সময়ে পেটের ওপর চাপ যায়। যাঁদের রেডমিট খাওয়া নিষেধ, তাঁরাও চেখে দেখেন দুই পিস মাংস। আবার স্বাভাবিকভাবেই বাটিভর্তি গরু বা খাসির মাংস ভুনা নিয়ে বসে যান অনেকে। কোরবানির পরেই নাকি বিয়ের অনুষ্ঠানের সেরা সময়। আবার এই সময় পড়ে যায় দাওয়াতের হিড়িক। ঈদে, অনুষ্ঠানে বা দাওয়াতে ‘স্বাভাবিকভাবেই’ একটু বেশি খেয়ে ফেললে করবেন কী? সেই প্রশ্নের উত্তর নিয়েই এই আয়োজন।
* বেশি খাওয়া হয়ে গেলে অপরাধবোধে ভুগবেন না। এটা হতেই পারে। পরেরবার যাতে এমন না হয়, মনে মনে তখনই প্রতিজ্ঞা করে ফেলুন। টেনশন না করে ‘রিল্যাক্স’ করুন। হালকা পায়চারি করতে পারেন। অল্প হাঁটাহাঁটি আপনার হজমক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। আর প্রেশারও স্বাভাবিক থাকবে।
* শুয়ে পড়বেন না। কেননা, শুয়ে পড়লে আপনি জরুরি সময়ে ক্যালরি বার্ন করার সুযোগ হারালেন। এতে পাকস্থলীর কার্যকলাপও ধীর হয়ে যায়। ফলে বদহজম হতে পারে। আর অ্যাসিডিটির মাত্রা বাড়াবে।
* একটু একটু করে পানি খান। পানি খেলে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে শরীরে যে অতিরিক্ত লবণ জমা হলো, তা ক্ষতি করতে পারবে না। তা ছাড়া হজমেও সহায়তা করবে। কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। যতটা পারবেন নিজেকে হাইড্রেট রাখুন।
* বেশি খেয়ে ফেলার পর কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কস বা কোমল পানীয় বাদ দিন। এতে আপনার আরও হাঁসফাঁস লাগবে। ক্যালরিও বাড়বে। তার বদলে এক গ্লাস লেবুপানি বা শসাকুচি ভেজানো পানি খেয়ে নিন।
* রাতের বেলা যদি বেশি খাওয়া হয়ে যায়, তবে পরদিন সকালেও খেতে পারেন লেবু বা শসা ভেজানো পানি। এটা বিস্বাদ লাগলে এতে যোগ করতে পারেন ছেঁচে নেওয়া আদা আর অল্প একটু মধুও। গরম পানি খেতে ভালো না লাগলে সাধারণ তাপমাত্রার পানিতেও তৈরি করে নিতে পারেন এই ডিটক্স। এটি শরীরে থাকা বিষ বা ক্ষতিকর উপাদান কমাবে। তাতে একদিকে যেমন পানির ঘাটতি পূরণ হবে, অন্যদিকে তা বাড়তি ওজন কমাতেও সহায়তা পাবেন। যতটা পারা যায়, ফলের রস খেতে চেষ্টা করুন। তবে অবশ্যই চিনি ছাড়া। প্রয়োজনে মধু খেতে পারেন।
* দুপুরে যদি ভারী খাবার খান, তাহলে রাতের খাওয়া ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করুন। চেষ্টা করুন স্যুপ, ফল, সালাদ বা হালকা কিছু খাওয়ার। এসবের সঙ্গী হতে পারে টক দই।
* বেশি খেয়ে ফেলার তিন থেকে চার ঘণ্টা পর হালকা ব্যায়াম করুন। এরপর আপনি ওয়ার্কআউট করতে পারেন। সেটা হতে পারে দৌড়ানো, ওয়েটলিফটিং বা বাস্কেটবল খেলা। এতে শরীরের মেটাবলিজম সিস্টেমকে বুস্ট আপ করা হবে। আর অতিরিক্ত ক্যালরি ঝরে যাবে।
* আপনি যদি ভারী খাবার খান, তাহলে পরের বেলায় এমন খাবার নির্বাচন করুন, যেটা বেশি খেলেও কম ক্যালরি হয়। বেশি খেয়ে আর ভেবে কাজ কী, পরের বেলায় ভেবে খান। ধীরে ধীরে খান। চর্বিযুক্ত খাবার, সাদা আটা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চকলেট, আইসক্রিম, চিকেন ফ্রাই—একবেলায় এসব খেলে পরের বেলায় ব্রকলি, সবুজ সালাদ, হালকা স্যুপ, ডাল আর দেশি সবজি ও ফল খান
সূত্র: ওয়েবএমডি ডটকম