পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর তালিকা করুন। তার প্রথম দিকেই থাকবে সকালে ঘুম থেকে ওঠা। বেশির ভাগ মানুষের কাছেই দিনের সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজ এটিই। জেনে নিই, সকালে উঠে কীভাবে ঘুমকে বলা যায় টা টা বাই বাই।

আমরা অনেকেই মোবাইলে অ্যালার্ম দিয়ে ঘুমাই। তারপর যেই অ্যালার্ম বাজে অমনি মোবাইলটা হাতড়ে কোনোরকমে হাতে পেয়েই অ্যালার্ম বন্ধ করে ‘পাঁচ মিনিট’ ঘুমাই। তারপর যখন ঘুম থেকে উঠি, দেখি, যাহ, পেরিয়ে গেছে এক ঘণ্টা পাঁচ মিনিট! তাই অ্যালার্মটা হাতের নাগালের বাইরে রাখুন। যাতে অ্যালার্ম বন্ধ করার জন্য বিছানা ছেড়ে উঠতে হয়। একবার যখন বিছানা ছেড়ে উঠেই পড়েছেন, তাহলে জানালার পর্দা সরিয়ে দিন। আড়মোড়া ভাঙুন। জানালার রোদ চোখে–মুখে আছড়ে পড়লে, বারান্দার সতেজ বাতাস শরীর স্পর্শ করতেই ঘুম মিলিয়ে যাবে।  

সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার জন্য রাতে আগে আগে ঘুমানো জরুরি। আর রাতে আগে আগে ঘুমানোর জন্য ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টুইটারের ফাঁদ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। রাতে বই পড়ার অভ্যাস করতে পারেন। সন্ধ্যা ছয়টার পর চা–কফি নয়। সাতটা–আটটার ভেতর সারুন রাতের খাওয়া। ছয়টায় উঠতে চাইলে যে দশটার ভেতর ঘুমিয়ে পড়তে হবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় সকালে কী কী করবেন, মনে মনে তার একটা পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলুন। তাহলে ঘুমের মাঝেই আপনার অবচেতন মস্তিষ্ক দেহঘড়ির মাধ্যমে সংকেত দেবে, ঠিক সময়ে আপনাকে জাগিয়ে দেবে।  

সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার জন্য রাতে আগে আগে ঘুমানো জরুরি
সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার জন্য রাতে আগে আগে ঘুমানো জরুরি

একটা সুন্দর দিনের পূর্বশর্ত একটা সুন্দর সকাল। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ কুশল রায় জয় ঘুম থেকে উঠেই খুব সহজ অথচ কার্যকরী কিছু ব্যায়ামের কথা বলেন। যেমন বিছানায় শুয়ে থেকেই হাত ওপরের দিকে নিয়ে লম্বা করে ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়া।

আবার বিছানায় বসেও নাকের এ পাশ বন্ধ করে অন্য পাশ দিয়ে দম নিতে হবে। আবার যে পাশ দিয়ে দম নেওয়া হলো, সে পাশ বন্ধ করে অন্য পাশ দিয়ে ধীরে ধীরে দম ছাড়তে হবে। কিছুক্ষণ এভাবে করার পর একটু বিরতি নিতে হবে। এরপর আবার দুই হাত ওপরের দিকে নিয়ে বসে লম্বা করে শ্বাস নিতে হবে আর ধীরে ধীরে ছাড়তে হবে। হাত ওপরে রাখার অর্থ ফুসফুসে বাতাস যাওয়ার জায়গাটা প্রশস্ত করা, যাতে বেশি বাতাস যেতে পারে। এতে করে শরীর আর মন—দুটোই সারাদিনের জন্য তৈরি হবে।

প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া আর একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা কিছুটা কঠিন
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া আর একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা কিছুটা কঠিন

প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া আর একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা কিছুটা কঠিন। তবে একবার যদি এই অভ্যাস করে ফেলতে পারেন, তাহলে দিনগুলো সহজ হয়ে যাবে। ঘুম থেকে উঠেই একটু লাফিয়ে নিতে পারেন। বলা হয়ে থাকে, ‘জাম্পিং মেকস ইউ লুক ইয়াঙ্গার’। লাফানো শেষে খালি পেটে এক গ্লাস পানি খেয়ে দিন শুরু করলে সবচেয়ে ভালো। তবে অবশ্যই ব্রাশ করে। নতুবা সারা রাত জমা হওয়া সব জীবাণু পেটে ঢুকে পড়বে। পানিটা সামান্য গরম করে যদি লেবু আর মধু মিশিয়ে খান, তবে আরও ভালো। সূত্র ( প্রথম আলো )

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *